Wednesday, November 28, 2018

মধু মতির তীরে

               - নার্গিস আলমগীর
মধু মতির তীরে
বারে বারে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।
কৈরবী জোছনা রাতে
তুমি যদি রও সাথে।
হারাবো সেই আবেশে
বলেছিলে  মনে কি রবে মোরে?
বলতে পারিনি সেই ক্ষণে।
জেনে রাখো! মনের কোনে।
জীবদ্দশায়ও থাকতে পারি
তোমার সাথে নিকষ অন্ধকারে।
ফিরবোনা আর  নভোমনি ধরা তলে।
যদি থাকো তুমি সাথে।
নক্তো রজনী পোহাবো দু’জনে
যদি থাকো সাথে।
মধু মতির ঐ তীরে বারেক হারাতে
সাধ জাগে  মনে।

কানা মাছি দিন ভর

                      - নার্গিস আলমগীর
জীবন যদি হয় একটাই-
নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতায় ভাস্বর-
তবে কেন  মিছে মিছি
কানা মাছি খেলা দিন ভর।
হয়তো অনেকে বুঝবেনা ,
তাতে কি আসে যায়
আমি যে- আমাকে জেনেছি
এতো একে বারে সামান্য নয়।
আসলে, ভালবাসা অফুরন্ত বিস্ময়,
যতই বিলাও নাই ক্ষয়।
খোদ খোদা, বলেছেন,
আমার সৃষ্ট মানুষকে ভালবাসার মাঝে-
আমার উপস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে,
নারী পুরুষ সকলের তরে।
কারো ভালবাসাতে যদি না থাকে
নিঃস্বার্থ চেতনা।
সে কোনদিন পাবে না
ভালবাসার ঠিকানা।

চাই না

           - নার্গিস আলমগীর
কৃষ্ণের জন্মবতি হতে চাই না,
চাইনা প্রাসাদের ঐশ্বর্য্য মুকুট।
হতে চাই কৃষ্ণ প্রেমে রাধা পাগলিনী স্বরূপ।
চাইনা সংসারের আবম্বরতা,
চাই কৃষ্ণের মাদকতা।
কৃষ্ণ সুধায় বুঁদ হয়ে মিশে যেতে।
 স্বাধ জাগে কৃষ্ণ হাতের বাঁশি হতে
সামনে এসে দাঁড়াও যখন কৃষ্ণ ভঙ্গিমায়-
লতা যদি হতাম আমি
জড়িয়ে যেতাম পায়।
বাগানের যত ফুল অর্ঘে-দিতাম ঠায়।
হতাম যদি কবি, ভাষার অলংকারে-
সাজিয়ে দিতাম প্রতি অংগের ছবি।
পৃথিবী জানুক রাধা অন্তর ধ্যানে,
বহু রাধার জন্ম হোক- ফিরে ফিরে।

পরাগ

              - নার্গিস আলমগীর
লাগোডিয়া এয়ারপোর্টে দেখেছি তোমাকে।
ভূলতে পারিনি সে মায়া ভরা মুখ।
তোমার দ্রুত চলার গতিতে।
লম্বা চুলগুলো উড়ছিল বাতাসে।
 মনে পরে গেল, ছোট বেলায় যখন
জড়িয়ে ধরে গলা, বলতে বলতো মা!
আমি তোমার মত কিনা?
আজ সেই শিশু বড় হয়ে
নিজের ছায়াকে লুকিয়ে রাখে, নিজের মাঝে।
হয়তো ভূলে গেছে, এ মায়ের বুকে মুখ লুকিয়ে
কত বছর কত মাস কত দিন গেছে।
আশির্বাদ করি, 
নিজেকে  গড়ে তোল শ্রেষ্ঠ মানুষ রূপে।

আকাশ বন্দর

                 - নার্গিস আলমগীর
যাদের ভাবনার আকাশ জুড়ে
পাখা দু’টো ভেসে বেড়াতো অবিরত।
কি এমন অনিহায় সমস্ত আকাশ
মেঘে ছেয়ে রয়।
অবুঝের মত উড়বার আসে
বার বার পাখা দুটো গিয়েছে খসে।
যারা ছিল হৃদয়ের অতি কাছে
তারা হৃদয়হীন বন্দরে নোঙ্গর করেছে।
সেই শক্তি পেতে চাই,
যা থাকলে তোমাদের
আকাশ বন্দর প্রয়োজন নাই।
অনেক প্রাণি আছে যারা
আকাশ বন্দর ছারা বাঁচে।
তাদেরি মত রবো বেঁচে
যত দিন নিঃশ্বাস আছে।

প্রভু

        -  নার্গিস আলমগীর
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি
অপূর্ব তোমার সৃষ্টি
যত দেখি জুরায়না আঁখি
শুভ্র তুষারেরা বর্ষে যাচ্ছে।
তোমার সূক্ষ্ম পরিকল্পনায় সক্রিয় অংশ নিচ্ছে।
 পাতা ঝরা গাছ শ্বেতরূপ হচ্ছে।
পাকিংলটের উঠোনটা  বরফের আস্তরণে সুউচ্চ হয়েছে।
তন্ময় হয়ে দেখেছি হারিয়ে যাচ্ছি সৃষ্টি রহস্যে
প্রভূ,
কোথায় রাখ এত রূপ!
যখন নির্ধারিত আয়োজন হয় শেষ
কোথায় মিলিয়ে যায় সাজানো পরিবেশ।
এত বিশাল আয়োজন বিশ্ব ভূমে
সবই তো করেছ প্রভু মানুষের তরে,
তবে কেন?
মানুষই চলে যায়, অজানা ঠিকানায়
পরে রয় তোমার সৃষ্টি লীলা।

মাকে মনে পরে

                 - নার্গিস আলমগীর
মাকে মনে পরে
ঘুমুতে যাওয়ার কালে।
মশারী টানিয়ে কাঁথা জড়িয়ে
মাথায় হাত বুলাবার ছলে বুকে নিতে জড়িয়ে।
মাকে মনে পরে
অসুস্থ্য রাতের আঁধারে মৃদু আলো জ্বেলে সুস্থ্যতার প্রতীক্ষা করতে।
মাকে মনে পরে,
ভীষণ ইচ্ছে করে, আমার ভালবাসার কথা জানাতে।
 যে দিন আকাশে অনেক তারা উঠে
গোলাকার চাঁদের মাঝে মাগো তোমার ছবিটি ভেসে ওঠে।
চাঁদ মামার কত গল্প শোনাতে রূপ কথার মাঝে।
কোন অজানা রাজ্যের সম্রাজ্ঞী হয়ে বসে আছো মা!
কখনো কি মনে পরে তোমার অশান্ত মেয়েটির কথা?
মা আজ আমা হতে বহু দুরে।
যেথা হতে ফেরেনা কেউ কোন কালে।
কত যে তোমায় দেখতে চাই, মনে হয় কত অন্যায় করেছি অনিচ্ছায়।
মা, তুমি কি ক্ষমা করেছো আমায়?
সাধ জাগে তোমার আশ্রয়ে চলে যেতে।
 ক্ষমা করো আমাকে।

Tuesday, November 27, 2018

নিজের মাঝে

                    - নার্গিস আলমগীর
নিজের মাঝে নিজের ফেরা,
যত চাই দূরে কোথাও 
উড়ে বেড়াই
ততটাই ভূলে যাই 
ফেলে আসাটাই।
হয়না তবু কিছুতেই 
এ বাধঁন ছেড়া।

কান্নাদের

                  -নার্গিস আলমগীর

কান্না আমার হৃদয় বিদীর্ণ করা,
টক টকে লাল রক্তের ধারা,
কান্নারা যেন তোমার উপস্থিতিতে 
আন্দোলিত হতে থাকে,
ঐ গভীর চাহনির মাঝে।
কান্নারা তোমার অনুপস্থিতিতে,
কোদাল কাস্তে হাতে,
অশ্রুর দিঘী কাটা শুরু করে।
কান্নারা কাশফূলের পাপড়ীর মত,
উড়ে উড়ে যায় দূর নিলীমায়।
কান্নারা যেন গোপন প্রণয়ের মত,
পুলকে পুলকে শিহরীত করে।
কান্নারা তোমার সানিধ্যে এলে,
লুকিয়ে থাকে উত্তপ্ত বালুচড়ে।
তুমি কি পারোনা,
কান্নাদের অপহরণ করে,
আমাকে প্রশান্তি দিতে!

Friday, November 23, 2018

স্মৃতির পাতাগুলো


 স্মৃতির পাতাগুলো শিশিরের আদরে মিশে আছে ভোরের সমিরণে হৃদয়ের খোপে খোপে অদেখা তূর্পুণে কত নকসা একেঁ যায় রক্ত আখরে।মনের পাতায় যা ছিল লেখা,ধুয়ে গেল নয়নের বরষায় , বলেছ সুখে আছ, সে আমার শান্তনা, বলনি ভুলে গেছ সে আমার যাতনা , মন বলে শেষ লগনে থাকবে তুমি আমারি শিওরে